বিশ্বের বিখ্যাত এক বিজনেসম্যান এর ছেলে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসে তার বাবাকে, বাবাকে কেন্দ্র করে তার পুরো পৃথিবী কিন্তু ছেলেকে ভালোবাসার সুযোগ পেলেই সে দূরে সরিয়ে দেয় ছেলেকে কিন্তু এতেও বাবার প্রতি ভালবাসার কোন কমতি নেই ছেলের, বাবার উপর যখন বিপদ নেমে আসে তখন বাবা কে বাঁচানোর জন্য হিংস্র পশু হয়ে উঠেছিলেন, শত শত মানুষকে হত্যা করে বাঁচিয়ে রাখে বাবাকে কিন্তু এতকিছুর পরেও বাবার ভালোবাসা পায় না সে।
বলছিল সম্প্রতি রিলিজ হওয়া বলিউড মুভি এনিমেল এর কথা, ইমোশন, একশনস, ভায়োলেন্স সবকিছু মিশ্রণের চমৎকার একটি মুভি এনিমেল, মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন রানবির কাপুর, অনিল কাপুর, ববিদেওয়াল, রাশমিকা, মান্দানা সহ আরো অসংখ্য অভিনেতা। আমরা একটা ছেলেকে দেখতে পাই যদি অফিসে এই মুহূর্তে স্কুলে আছে কিন্তু তার মন পড়ে আছে বাড়িতে, ক্লাসে বিজয়ের একদমই মনোযোগ না থাকার কারণে টিচার রাগ করে শাস্তি দেওয়ার সাথে সাথে এক প্রকার ছুটতে ছুটতে বাড়িতে চলে যায় কারণ আজ বিজয়ের বাবার জন্মদিন, আমাকে উইশ করার জন্য অনেক এক্সাইটেড হয়ে আছে।
অপেক্ষা করুন ডাউনলোড লিংক ওপেন হবে
সে পুরো বাড়িতে তার বাবাকে খুঁজতে থাকে কিন্তু কোথাও খুঁজে পায় না, সে তার বাবার ফ্যাক্টরিতে চলে যায় কিন্তু সেখানেও খুঁজে পায় না, বাধ্য হয়ে আবারো বাড়িতে ফিরে চায় বাবার জন্য অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে ছোট্ট বিষয় একসময় ঘুমিয়ে পড়ে, গভীর রাতে বিজয়ের বাবা বাড়িতে ফিরে আসে, ভারতের শীর্ষ ধনীদের মধ্যে একজন বিজয়ের বাবা। বেশিরভাগ সময় বিজনেসের কাজে ব্যস্ত থাকে যার কারণে সন্তানদেরকে ঠিকমতো সময় দিতে পারে না অর্থাৎ ব্রণের ওয়াইফ কে বলেছে তোমাকে অনেক ভালোবাসি এবং নিজের সুপারহিরো মনে করে এভাবে ব্যস্ততা না দেখে প্রতিদিন অন্তত দশ মিনিট সময় দেওয়া উচিত।
অভিযোগের বিষয়ে রুমে যায় অনেকক্ষণ আগেই ঘুমিয়ে পরেছে হাতে একটা নোট দেখতে পায় সেখানে প্রবেশ করে লিখেছে পরের জন্মে তুমি আমার সন্তান হয়ে জন্ম নিয়ো বাবা, আমি তোমাকে কিভাবে ভালোবাসবো সেটা দেখে শিখে নিও কারণ তার পরের জন্মে আবার তোমার সন্তান হবো তখন তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসবে, ইমোশনাল হয়ে যায় পরদিন স্কুলে যায় তার বাবার জন্মদিন উপলক্ষে ক্লাসের সবাইকে চকলেট গিফট করে ছিল বাবার প্রতি বিষয়ের ভালোবাসা প্রকাশের একটা মাধ্যম, এরপর কয়েক বছর পর দেখানো হয় আমেরিকায় পড়াশোনা করছিল, জন্মদিন উপলক্ষে সে দেশে ফিরে এসেছে দেশে ফেরার স্কুল ফ্রেন্ডস কার্তিকের সাথে দেখা করতে যায়, কার্তিকের বাড়িতে গিয়ে দেখে কার্তিকের গীতাঞ্জলি ইংলিশ ফাংশন হচ্ছে, ছোটবেলা থেকেই গীতাঞ্জলি কে পছন্দ করত তাই সে চাচ্ছিল না গীতাঞ্জলি অন্য কাউকে বিয়ে করুক, গীতাঞ্জলি কে জিজ্ঞেস করে যার সাথে ইংরেজ মেন্ট হয়েছে তাকে সে ভালবাসে কিনা গীতাঞ্জলি জানায়।
ফ্যামিলি থেকে ছেলেটাকে পছন্দ করা হয়েছে মাত্র এক সপ্তাহ আগেই, ছেলেটার সাথে পরিচয় হয়েছে তখন ভীষণ, গীতাঞ্জলি কে বোঝায় প্রাচীন যুগের মেয়েরা নিজেরাই নিজেদের সঙ্গী বেছে নিতো, তারা পুরুষদের কে বেশি প্রাধান্য দিতে অপেক্ষাকৃত দুর্বল পুরুষ, জেলাস ফিল করতে শুরু করে তাই তারা সমাজব্যবস্থা বদলানোর জন্য নতুন উপায় বের করে, তারা বিভিন্নভাবে মেয়েদেরকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ইমপ্রেস শুরু করে তবে দুর্বল পুরুষের কখনোই নিজেদের ওয়াদা রাখতে পারেনি। যুগে যুগে শুধুমাত্র সং পুরুষের মেয়েদেরকে সুখে রেখেছে এই গল্পটি শুনার পর গীতাঞ্জলি রিয়েলাইজ করে তার নিজের সঙ্গীকে বেছে নেওয়ার অধিকার আছে।
অর্থাৎ কার্তিককে বলে সম্ভব হলে গীতাঞ্জলির বিয়েটা যেন ভেঙে দেয় কারণ বিষয় যেমন গীতাঞ্জলি কে ভালোবাসে তেমনি গীতাঞ্জলি অফিসারকে ভালোবাসে, সে সময় ঐসব বিষয় গীতাঞ্জলি কে প্রপোজ করেছিল গীতাঞ্জলি প্রপোজ এক্সেপ্ট করেছিল কিন্তু গীতাঞ্জলির খালা যখন ব্যাপারটা বুঝতে পারে সে গীতাঞ্জলি কে বোঝায় ভাইয়ের বন্ধু সব সময় ভালই হয় যার কারণেই তাদের কিশর বয়সের সম্পর্কটা ভেঙে যায়, কার্তিক বলে এখন এভাবে বিয়েটা ভেঙে দেওয়া সম্ভব নয় তখন বিষফুল কনফিডেন্সের সাথে বলে গীতাঞ্জলি নিয়েছে এটা করবে না।