ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী (গাইবান্ধা -১, জাতীয় পার্টি) তিনি বলেন: আমি মনে করি দেশকে বাঁচানোর একটাই উপায় আছে রেমিটেন্স। আর কোন সেক্টরে আমরা এত দ্রুত ডলার পাব না যেটা আমাদের রেমিটেন্স থেকে পাওয়া সম্ভব। মানুষ বিদেশে যাচ্ছে বৈধ উপায়ে কিন্তু বিপুল টাকা তারা হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে পাঠাচ্ছে, বৈধ উপায়ে বিদেশে যেয় তারা যেন অবৈধ উপায়ে টাকা না পাঠায় এটার জন্য আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে। আবার প্রণোদনা দিতে হবে ১০%, তাহলে তারা হুন্ডের মাধ্যমে টাকা পাঠাবে না।
অনেক লোক অবৈধ উপায়ে বিদেশে যাচ্ছে এবং বৈধ উপায়ে বাংলাদেশের টাকা পাঠাতে চাচ্ছে কিন্তু তাদের বৈধতা না থাকার কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের টাকা পাঠাতে পারছে না। এটার সংশোধন হওয়া প্রয়োজন। যারা অবৈধভাবে বিদেশে আছে কিন্তু তারা বৈধভাবে টাকা পাঠাতে পারে, পৃথিবীর সব দেশে সেটা চালু আছে শুধুমাত্র বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে এখানে প্রবলেম হচ্ছে।
ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য যে সোর্সের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং হয়, হুন্ডি আসে এবং সেই সোর্সের টাকা যেসব চ্যানেলের মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউট করা হয় অবশ্যই তাদের কে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে হবে।ডলারের বৈধ পথে যেমন আতঙ্কিত করেছে তেমনি ডলারের অবৈধ পথকে আতঙ্কিত করতে হবে ।
সরকার 2.5 শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা দিয়েছে এরপর এই রেমিটেন্স বেড়েছিল, এই মুহূর্তে উচিত ১০% প্রণোদনা দেওয়া-তার পুরোটা ক্যাশে দিতে হবে এমনটা না, আপনি পেনশনে একটা পার্সেন্টেজ দিয়ে দেন, আপনি তাকে কোটা দিয়ে দেন, তাকে আপনি প্রিভিলেজ কার্ড দিয়ে দেন এবং তাকে আপনার সন্তানের জন্য কোটা সিস্টেম করেন, আজকে দেশের প্রয়োজন প্রবাসীদের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় করা যেখানে প্রবাসীদের ছেলে মেয়েরা পড়বে, কোটার ভিত্তিতে পড়বে এবং এন্টার এডুকেশন সিস্টেমটাকে কাস্টমাইজ করতে হবে যেন আমাদের প্রবাসীদের কে আমরা শিক্ষিত করতে পারি।
দুঃখজনক হলেও সত্য এই, বিপুল পরিমান কন্ট্রিবিউশন এরপরেও সরকারের ডেভলপমেন্ট মডেলে মাইগ্রেশন একটা প্রাইম কনসার্ন না। আমাদের সরকার বাইড ফ্রেন্ডলি এটা বলার কোন সুযোগ নাই, কারণ বরাদ্দ খুব সামান্য দেওয়া হয়, জনসম্পদ খুব কম এবং এই মন্ত্রণালয় র এর কাজটি হোম মিনিস্ট্রি ,ল মিনিস্ট্রি,বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আবদ্ধ আছে। এখন সময় চলে আসছে প্রবাসীদের জন্য ওয়ান স্টপ সলিউশন দেয়া, তার পাসপোর্ট থেকে শুরু করে বিদেশ থেকে শুরু করে বিদেশ থেকে ফেরত আসা এসব কিছু যেন ওয়ান সিঙ্গেল ডিক্স থেকে হয় সেই ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে।
অনেকগুলো এম্বাসির কথা খুব দুঃখজনক হলেও সত্য তিন মাস লেগেছে পাসপোর্ট দিতে, যারা রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে, তারা কষ্ট করছে, তাদের দুই তিন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় তাহলে তারা দেশের জন্য কি উপকার করবে??
ঢাকা থেকে ইউএসএ'র টিকেট থেকে ঢাকা থেকে দুবাই এয়ার টিকিট অনেক সময় বেড়ে যায়, সরকারের উচিত বলে দেওয়া বাংলাদেশের যতগুলো ক্যারিয়ার লাইন চালানো হবে প্রত্যেক এ সার্টেন পার্সেন্টেজ অফ টিকিট অবশ্যই ফেয়ার প্রাইজে আমাদের প্রবাসী ওয়ার্কার দের জন্য রাখতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স- বাংলাদেশ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স নেওয়ার জন্য এসেছে যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যেতে পারে তাহলে তারা অনেক টাকা বেতন পাবে কিন্তু তারা এই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাচ্ছেনা। এই ড্রাইভিং লাইসেন্স নরমাল যারা তারা পাচ্ছে না এবং প্রবাসী যারা তারা পাচ্ছে না।
নার্সিং কলেজ বাড়ানো প্রয়োজন,কেয়ার ওয়ার্কার বাড়ানো প্রয়োজন বিদেশের প্রচুর চাহিদা আছে। উপজেলার একটা চিঠি পেয়ে ছিলাম আমরা প্রত্যেক উপজেলা থেকে ৫০০ জন করে বিদেশে পাঠানো হবে এটার কোন বাস্তবায়ন হচ্ছে না, উপজেলা পর্যায়ে কিস্তি ভিত্তিক মানুষকে বিদেশে পাঠানো উচিত তাহলে মাইগ্রেশন সুবিধা ডিসেন্ত্রালাইজ হবে, দেশের দায়িত্ব নির্বাচন হবে এবং অর্থনৈতিক সংকটে খুব দ্রুততার টাকা পাঠাবে এবং যে আইন কি আছে অভিবাসন আইন ২০১৩ সালের এখানে অনেকগুলো এমেন্টমেন্ট নিয়ে আমি অনেকবার আলোচনা করেছি, দ্রুত এমেন্টমেন্ট করা প্রয়োজন।
আরেকটি হচ্ছে বেশ কিছু প্রবাসী আছে,. সংখ্যাটা কম না, তাদের কারো জন্ম তারিখ ভুল আছে, কারো নামের বানান ভুল আছে এজন্য তারা পাসপোর্ট পাচ্ছে না, বিদেশে আটকা পড়ে গেছে এদেরকে যদি সহানুভুতির সাথে দেখা হয় এরাও দ্রুত দেশের রেমিটেন্স পাঠাবে। এভাবে বিভিন্ন ধরনের ছোটখাট কিছু বলবো যে পথগুলোতে ডলার আমরা পেতে পারি, আমার ডলার দরকার এই মুহূর্তে, দ্রুত রেমিটেন্স কমেছে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। আজকে ২৪ বিলিয়নে নেমেছে দ্রুত আমাদের ডলার বাড়াতে হবে।
এনজিও- অসংখ্য এনজিও আমাকে কমপ্লেন করেছে, আমরাও তাদের সাথে কাজ করে দেখেছি তাদের ফান্ড রিলিজ করতে তাদেরকে গলদঘর্ম হতে হয়, দুই বছরের প্রজেক্ট থাকলে ১৪ মাস ১৫ মাস লাগে ফান্ড রিলিজ হতে। অনেক ডোনার বাংলাদেশ টাকা পাঠায়, আগে বারবার জিজ্ঞেস করে আমরা টাকা পাঠাবো কিন্তু তুমি কি তাকে রিলিজ করতে পারবে? এই বিষয়ে অবশ্যই সহজ করা উচিত বড় বড় এনজিওর সাথে সরকারের বসা উচিত,আপনারা আরও বেশি ডোনেশন নিয়ে আসেন আপনাদের ফান্ড রিলিজ সহজ করে দিব। একটি কাজ করলে বাংলাদেশ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সহজে আসবে।