প্রথমে গাড়ি চুরি তারপর স্বাক্ষর জাল করে সেই গাড়ির প্রতারণার মাধ্যমে বিআরটিএ থেকে নিজের নামে করে নেন এক প্রতারক। আর এই কাজে তাকে সহযোগিতা করেন মিরপুর বিআরটিএ কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী। মালিকানা পরিবর্তনের কিছুদিন পর আবার সেই গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ, মূল মালিক নাম পরিবর্তনের জন্য বিআরটিএ-তে গেলে তার কাছে চাওয়া হয় ঘুষ, বিস্তারিত- আব্দুস সামাদের এই নিশান গাড়িটি প্রতারণার মাধ্যমে 2020 সালের 5 সেপ্টেম্বর চুরি করে- সানজিদা মৌ নাজমা ও তার সহযোগীরা। এরপরই পল্টন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন সামাদ, একই বছরের অক্টোবরের 22 তারিখে সেই গাড়িটি মিরপুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
গাড়িটি আদালত থেকে ছাড়াতে গেলে গাড়ি চুরি হয়নি উল্টো সানজিদা মৌ এর নামে গাড়িটি কেনা হয়েছে বলে আদালতে সামাদ এর বিরুদ্ধে স্বাক্ষরসহ চুক্তিনামা জমা দেয় সেই চক্রটি। আদালতের সন্দেহ হলে স্বাক্ষর জাল কিনা তা যাচাই বাছাইয়ের জন্য সিআইডিতে পাঠায় আদালত, পরে সিআইডি জানাই সামাদের এই স্বাক্ষর জাল, আর এই জালা স্বাক্ষরের চুক্তিনামা দেখিয়ে বিআরটিএ থেকে মালিকানা পরিবর্তনের আবেদন করে চক্রটি যা গ্রহণ করে এই রশিদটি দেয় বিআরটিএ।
পরবর্তীতে সামাদ বিআরটিএ-তে গেলে তার কাছে ঘুষ দাবি করা হয়। সামাদ বলেন: সিআইডি থেকে সমস্ত কিছু জাল-জালিয়াতি প্রমাণ হয়ে আসার পরে আমি দুই দুইবার প্রার্থী চেয়ারম্যানের কাছে দরখাস্ত করছি, আমি কোন বিচার পাই নাই এবং হাসান সাহেবের সাথে যোগাযোগ করছি ফোনে ফোনে,উনি যোগাযোগ করতে বলছে আপা আপনি আমার সাথে এসে দেখা করেন কথা বলেন দেখা করার পরে কথা বলার পরে উনি মাহফুজুর রহমান এবং জাহিদুর রহমানের চেম্বারে পাঠান তারা পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে, ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনার সমস্ত জটিলতা ঠিক করে দেবো। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করি তখন আমাকে বলে যে আপনার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে দেবো।
মূল মালিকের উপস্থিতি ছাড়া কিভাবে এই রশিদ দিল বিআরটিএ সেই ঘটনা অনুসন্ধানে এবার যাওয়া যাক মিরপুর বিআরটিএ, বিআরটিএ-তে গিয়ে দেখা গেল যে- সহকারি পরিচালক আব্দুল হাসান এই কাগজটা দিয়েছেন তিনি অবসরে গেছেন আরও ছয় মাস আগে। মালিকানা বদলি শাখার বর্তমান সহকারি পরিচালক জানালেন গাড়ির চাপের কারণে অনেক সময়ই নজর দেয়া হয় না এ বিষয়ে।
আমাদের আব্দুস সামাদের কাছে 2022 সাল পর্যন্ত গাড়ির সকল বৈধ কাগজ আছে যা বিআরটিএর অনলাইন সার্ভারে পরীক্ষা করে দেখা হলো। তাহলে এখন প্রশ্ন হলো একজন প্রতারক কে কিভাবে অন্যের গাড়ির মালিকানা দিয়ে দেয়া হলো? এই দায় কার? নিশ্চিতভাবেই বিআরটিএর, তাহলে এর সঙ্গে জড়িতরা অবসরে যাওয়া তাদের বিরুদ্ধে কি আইনি ব্যবস্থা নেয়া যাবেনা? এ প্রশ্ন সবার।
শফিকুর রহমান বলেন: এই সেই কুখ্যাত আব্দুল হাসান, আমার কাছ থেকে 30 হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিল, আমার গাড়ির মালিকানা কাগজ পরিবর্তন করার জন্য, কারন? যার কাছথেকে গাড়ি কিনেছিলাম উনি গাড়ি বিক্রির পর সপরিবার কানাডা চলেযান,উনার স্ত্রী ছিলেন একজন সচিব,এই কর্মকর্তার টেলিফোন তার কাছে ছিলো অবাঞ্ছিত। আমাকে ১ বছর ঘুরিয়ে পরে ৩০ হাজার টাকায় মালিকানা বদল করি,এর মধ্যে কানাডায় কয়েক দফায় কাগজ চালাচালি করে আমার আরো অতিরিক্ত টাকা খরচ করাইছে।