বিশ্বকাপ দেখতে এসে যেভাবে ইসলামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন বিদেশি নারী ও পুরুষেরা । FIFA World Cup Qatar 2022

ফিফা ফুটবল ওয়ার্ল্ড কাপ কোন ইসলামী আয়োজন নয় তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই আসরে অমুসলিমদের মাঝে ইসলাম ধর্মকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে আয়োজক দেশ কাতার। অমুসলিম বিদেশীরা মুগ্ধ হয়েছেন ইসলামের বিভিন্ন বিধান সম্পর্কে জেনে, পুরুষরা আজানের সুর শুনে মুগ্ধ হয়ে ছুটে যাচ্ছেন মসজিদে, নারীরা মুসলিমদের মত হিজাব পড়ার অভিজ্ঞতা নিচ্ছেন। বেশকিছু বিদেশের ইসলাম গ্রহণের সংবাদ ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ইতিহাসে এই প্রথম বার মধ্যপ্রাচ্যের কোন মুসলিম দেশে বিশ্বকাপের আসর বসেছে। বিশ্বকাপ উপলক্ষে ইউরোপ-আমেরিকাসহ নানা দেশের লাখ লাখ বিদেশি পাড়ি জমিয়েছেন কাতারে। তাদের কাছে ইসলামের সুমহান আদর্শ পৌঁছে দেবার প্রায় সকল রকম পদ্ধতি কাজে লাগাচ্ছে দেশটি। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ইসলামের আদর্শ এবং ঐতিহ্য ছড়িয়ে দিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কাতারের ধর্ম মন্ত্রণালয়,এর সুফল ও দেখা দিচ্ছে ইতো মধ্যেই। মুসলিম নারীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূষণ হিজাব, হিজাবের মাধ্যমে নিজেদের পর্দার বিধান পালন করেন তারা তবে অমুসলিম দেশে অনেক সময় হিজাব নিয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখা যায়। হিজাব পড়তে গিয়ে বিভিন্ন সময় বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন মুসলিম নারীরা, চলমান কাতার বিশ্বকাপে দেখা যাচ্ছে এর সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। 

কাতারে এসে ইসলামের উন্নয়নের পাশাপাশি হিজাব সম্পর্কে জানতে পারছেন বিদেশীরা, এর মাধ্যমে তারাও হিজাব পড়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বিশ্বকাপ উপলক্ষে কাতারের দোহা ইসলামের সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন মুসলিম ভলেন্টিয়ার, তাদের কাছ থেকে হিজাব সম্পর্কে শুনে  মুগ্ধ হচ্ছেন অনেক বিদেশি নারী, অনেকে আবার নিজে হিজাব পরিধান করছেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশকিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে প্রথমবার হিজাব পড়ে আনন্দ প্রকাশ করছেন অমুসলিম নারীরা। ভলান্টিয়াররা জানিয়েছেন, হিজাবের প্রতি অমুসলিম নারীদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।


ইসলামী সংস্কৃতির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হচ্ছে তাদের, অন্যদিকে হিজাবের পাশাপাশি মসজিদের আজান মুগ্ধ করেছে বিদেশিদের। বিশ্বকাপ উপলক্ষে দোহার সব মসজিদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সুললিত কন্ঠে অধিকারী  মোয়াজ্জিনদের, প্রতিদিন পাঁচবার মাইকে আজান দিচ্ছে তারা, যা স্টুডিয়াম এর ভিতরেও ও প্রচারিত হচ্ছে। মুসলিমদের এই আযানের ধ্বনি আকর্ষণ করছে বিদেশিদের, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে মসজিদে আজান দিচ্ছেন মোয়াজ্জিন, আর  আযানের সুর শুনে অনেক বিদেশি চলে এসেছেন মসজিদের ভেতরে। অমুসলিম এই বিদেশীরা দাঁড়িয়ে থেকে মুগ্ধ হয়ে শুনছেন  আযান। এ সময় অনেকেই ফোনের ক্যামেরায় ভিডিও করেন এই দৃশ্য।

এর আগে বিশ্বকাপ উপলক্ষে আগত এক ব্রাজিলের সাংবাদিক টুইটারে লেখেন, কাতারে আসার পর তাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছে বাতাসে ভেসে আসা আযানের সমুদ্রস্রোত, একই রকম মন্তব্য করেছেন আরও অনেক অমুসলিম বিদেশি। এদিকে শুধু ইসলামের প্রতি মুগ্ধ হয়ে নয়, কাতার বিশ্বকাপ দেখতে এসে ইসলাম গ্রহণ করেছেন অমুসলিম বিদেশীরা। এমন অনেক ভিডিও প্রচার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে। সম্প্রতি টুইটারে আরিয়ানা নিউজ নামের একটি ভেরীফাইড পেজে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যাতে দেখা গেছে একজন আলেমের কাছে ইসলাম গ্রহণ করেছেন একটি বিদেশি পরিবারের সকল সদস্য, ভিডিও ক্যাপশনে বলা হয়েছে ইসলাম গ্রহণকারী পরিবারের সকল সদস্য ব্রাজিলের অধিবাসী। বিশ্বকাপ উপলক্ষে ইসলামের সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কাতারের সরকার। 


বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসর এর জন্য নতুন করে সাজানো হয়েছে সবকিছু, বিশ্বকাপের ভেন্যু থেকে শুরু করে হোটেল দেয়াল সব জায়গাতেই প্রচার করা হচ্ছে রাসূল সাল্লাল্লাহু সালামের বাণী, এর মাধ্যমে বিদেশিদের মাঝে তুলে ধরা হচ্ছে ইসলামের সৌন্দর্য। বিশ্বকাপ উপলক্ষে কাতারে আগত দর্শনার্থীদের মাঝে দেয়া হচ্ছে ইসলামের দাওয়াত। এই  উদ্দেশ্যে ২,০০০ জন মানুষের একটি দল তৈরি করা হয়েছে দাওয়াতি কার্যক্রমের জন্য।


দর্শক এ প্রতিবেদন শেষ করছে এখানটায় ফিরব আবারও ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপ সম্পর্কিত এমন কোনো বিষয়ের সাথে সে পর্যন্ত নিত্যনতুন সংবাদ পেতে ভিজিট করুন এখন পোস্ট ডট কম।

Post a Comment

Do not Share any Link

Previous Post Next Post

Contact Form