০১। ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরয়ান ও গণপরিবহন চালনার বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত ধারা ৪ এবং ৫ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪ এবং ৫ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয়দন্ডে দণ্ডিত হইবেন।
০২। ড্রাইভিং লাইসেন্স হস্তান্তর সংক্রান্ত ধারা ৬ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৬ এর উপ-ধারা (৫) এর বিধান লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদন্ড,বা উভয়দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
০৩। বিদেশি নাগরিক কর্তৃক এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের কোন বিধান বা লাইসেন্স প্রদত্ত শর্ত অমান্য সংক্রান্ত ধারা ৯ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো বিদেশি নাগরিক ধারা ৯ এর উপ-ধারা (৩) এর বিধান লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ৩০ (ত্রিশ) হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন।
০৪। কর্তৃপক্ষ ব্যতীত ড্রাইভিং লাইসেন প্রস্তত, প্রদান বা নবায়নে বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত ধারা ১০ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১০ এর বিদান লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর তবে অন্যুন ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয়দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
০৫। ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিত, প্রত্যাহার বা বাতিল করা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক মোটরযান চালানোর উপর বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত দারা ১২ এর বিদান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১২ এর উপ-ধারা (৩) এর বিধান লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ২৫ (পচিশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
০৬। কনাক্টর লাইসেন্স ব্যতীত কোনো গণপরিবহণে কনাক্টর হিসাবে দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত ধারা ১৪ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ৫ (পাচ) হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন।
০৭। মোটরযান রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত মোটরযান চালনা সংক্রান্ত ধারা ১৬ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৬ এর বিধান লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
০৮। ভুয়া রেজিষ্টেশন নম্বর ব্যবহার ও প্রর্দশনে বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত ধারা ১৭ এর বিধান লঙ্ঘনের দল্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৭ এর বিধান লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ২ (দুই) বসর তবে অন্যুন ৬ (ছয়) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ৫ (পাচ) লক্ষ টাকা তবে অন্যুন ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
০৯। মোটরযান মালিকানা পরিবর্তন বা হহান্তরের কারণে হহান্তরহীতা কর্তৃক রেজিষ্টেশন সংক্রান্ত ধারা ২১ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো হছ্থান্তরগ্রহীতা ধারা ২১ এর বিধান লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ১ (এক) মাস কারাদন্ড, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
১০। মোটরযান ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদউ্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার করিয়া বা ইকোনমিক লাইফ অতিক্রম বা ফিটনেসের অনুপযোগী, ঝুঁকিপূর্ণ মোটরযান চালনা সংক্রান্ত ধারা ২৫ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৫ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ২৫ (পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দ্ডিত হইবেন।
১১। ট্যাকা-টোকেন ব্যতীত বা মেয়াদউত্তীর্ণ ট্যাক্ -টোকেন ব্যবহার করিয়া মোটরযান চালনা সংক্রান্ত ধারা ২৬ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৬ এর বিধান লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবে।
১২। রুট পারমিট ব্যতীত পাবলিক প্লেসে পরিবহন যান ব্যবহার সংক্রান্ত ধারা ২৮ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৮ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হইবেন।
১৩। গণপরিবহনের ভাড়ার চার্ট প্রর্দশন ও নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া দাবী বা আদায় সংক্রান্ত ধারা ৩৪ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৩৪ এর উপ-ধারা (৩) ও (8) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
১৪। ট্রাফিক সাইন ও সংকেতের ব্যবহার মানিয়া চলা সংক্রান্ত ধারা ৪২ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪২ এর বিধান লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
১৫। অতিরিক্ত ওজন বহন করিয়া মোটরযান চালানো সংক্রান্ত ধারা ৪৩ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৩) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসরের কারাদন্ড, বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ২ (দুই) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
১৬। মোটরযানের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ধারা 8৪ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্তঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দর্ভিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ২ (দুই) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
১৭। নির্ধারিত শব্দমাত্রার অতিরিক্ত উচ্চমাত্রার কোনরুপ শব্দ সৃষ্টি বা হর্ণ বাজানো বা কোনো যন্ত্র, যন্ত্রাংশ বা হর্ণ মোটরযানে স্থাপন সংক্রান্ত ধারা ৪৫ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৩৪ এর উপ-ধারা (২) ও (৩) ও (৪) এর বিধান লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
১৮। পরিবেশ দৃষণকারী, ঝুঁকিপূণ ইত্যাদি মোটরযান চালনার বিধি- নিষেধ সংক্রান্ত ধারা ৪৬ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ-(১) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৬ এর উপ-ধারা (২) ও (৩) এর বিধান লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
১৯। মোটরযান পাকিং এবং যাত্রী বা পণ্য উঠানামার নির্ধারিত ছান ব্যবহার সংক্রান্ত ধারা ৪৭ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা 8৭ এর বিধান লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ৫ (পাচ) হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ২ (দুই) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
২০। দ্রুতগতির মোটরযান প্রবেশের ক্ষেত্রে মহাসড়কের ব্যবহার সংক্রান্ত ধারা ৪৮ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডই- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৮ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ৫ (পাচ) হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
২১। মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশনাবলী সংক্রান্ত ধারা ৪৯ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- (১) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৯ এর উপ-ধারা (১) উল্লেখিত সাধারণ নির্দেশাবলীর প্রথম অংশের কোনো বিধান লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
২২। বিল্ফোরক বা দাহ্য পদার্থ মোটরযান পরিবহন সংক্রান্ত ধারা ৫১ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৫১ এর বিধান লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
২৩ । সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তির চিকিৎসা সংক্রান্ত ধারা ৬২ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৬২ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং, চালকের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে ।
২৪। ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রবহীনভাবে মোটরযান চালনার ফলে দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের দন্ডঃ- যদি নির্ধারিত গতিসীমা অতিরিক্ত গতিতে বা বেপরোয়াভাবে বা ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং বা ওভারলোডিং অথবা নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে মোটরযান চালনার জন্য কোনো দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি সাধিত হয়। তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট মোটরযানের চালক বা কন্ডাকুর বা সহায়তাকারী ব্যক্তির অনুরুপ মোটরযান চালনা হইবে একটি অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ড, বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হইবে এবং আদালত অর্থদন্ডের সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রদানের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
২৫। অপরাধ সংঘটনে সহায়তা, প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্রের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো ধরনের অপরাধ সংঘটনে সাহাজ্য করেন বা প্ররোচনা প্রদান করেন অথবা ষড়যন্ত্র করেন এবং যাহার জন্য সংশ্লিষ্ট অপরাধটি সংঘটিত হয়। তাহা হইলে উক্ত সহায়তাকারী, ষড়যন্ত্রকারী বা প্ররোচনা প্রদানকারী ব্যক্তি উক্ত অপরাধ সংঘটনের জন্য নির্ধারিত দন্ডের সমপরিমাণ দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
২৬। অপরাধ পুনঃ সংঘটনের দ্ডঃ- এই আইনে উল্লেখিত কোনো অপরাধের জন্য দন্ডভোগকারী একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি করিলে, উক্ত ব্যক্তিকে সংঘটিত অপরাধের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ দন্ডের দ্বিগুণ দন্ডে দন্ডিত করা যাইবে এবং ইহা কোনোক্রমে পূর্বে প্রদত্ত দন্ডের দিগুণের কম হইবে না।
২৭। পরির্দশনে বাধা প্রদান বা প্রদত্ত নির্দেশনা অমান্য সংক্রান্ত ধারা ১১৬ এর উপ-ধারা (২) এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১১৬ এর উপ-ধারা (২) এর বিধান লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
২৮। আক্রমনাত্মক আচরণ ও জনরোষ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ধারা ১১৯ এর বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১১৯ এর বিধান লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
২৯। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ ও নির্দেশনা সংক্রান্ত ধারা ১২৪ এর অধীন প্রণীত বিধান লঙ্ঘনের দন্ডঃ- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১২৪ এর অধীন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশনা এবং প্রণীত নীতিমালা প্রদত্ত নির্দেশনা লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদন্ড, বা অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
৩০। দুর্ঘটনা সংক্রান্ত অপরাধঃ- এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মোটরযান চালনাজনিত কোনো দুর্ঘটনায় গুরুত্বভাবে কোনো ব্যক্তি আহত হইলে বা তাহার প্রাণহারি ঘটিলে, তৎসংক্রান্ত অপরাধসমূহে ১৮৬০-এর এতদ্সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে।