বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি নতুন ট্রাফিক নিয়ম চালু করেছে। যানজট এমন একটি সমস্যা যা প্রত্যেকে দৈনন্দিন ভিত্তিতে সম্মুখীন হয়। সড়কপথে ভ্রমণকারী এবং পায়ে-যাত্রীদের নিরাপত্তা বর্তমানে বাংলাদেশে একটি জ্বলন্ত সমস্যা। দিনের বেলায় ট্রাফিক ভিড় আলাদা হয়, পরিকল্পনা এবং দীর্ঘ ভ্রমণের প্রয়োজন হয়; এটি উৎপাদনশীলতাকে প্রভাবিত করে, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থাকে জুড়ে দেয়।
যদিও স্বল্প আয়ের সংখ্যাগরিষ্ঠদের জন্য হাঁটা একটি প্রধান ভ্রমণ ব্যবস্থা, তবে পরিবহন পরিকল্পনায় পথচারীদের চাহিদা উপেক্ষা করা হয়। রাস্তায় দুর্ঘটনার হার কমাতে নতুন ট্রাফিক নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। ঢাকার যানজটের প্রায় ৮০ শতাংশই জ্বালানিচালিত গাড়ির আঘাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয় পথচারী। চলুন দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশ ট্রাফিক ২০২০ এর নতুন নিয়ম কি।
বাংলাদেশে নতুন ট্রাফিক নিয়ম ২০২০
সরকার সড়ক-মহাসড়কে নতুন নিয়ম আরোপ করায় যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি নমনীয়তা দেখা গেছে। ব্যস্ত মোড়ে, চৌরাস্তায় পুলিশ উপস্থিত ছিল – কিন্তু সবগুলো নয়। বিআরটিএ যারা পরিবহন খাতের প্রধান, তারা নতুন আইন বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য একটি নির্দেশনা তালিকাভুক্ত করেছে। বেশিরভাগ অদক্ষ চালক নিয়ম না মেনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং মারাত্মক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়।
- আরো পড়ুনঃ Motorcycle New Rules Bangladesh 2023 - লাগাম পড়ছে মোটরসাইকেলে, কী থাকছে নতুন নীতিমালায়?
- আরো পড়ুনঃ বিআরটিএ-এর যেকোনো ফি বিকাশ করুন এবং ঘরে বসেই আপনার ট্যাক্স টোকেন গ্রহণ করুন।
- আরো পড়ুনঃ বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্নব্যাংক ও সকল পরীক্ষার রেজাল্ট চেক করুন অনলাইনে
- ডাউনলোড করুনঃ প্রিয়তমা মুভি ডাউনলোড লিংক
- ডাউনলোড করুনঃ Hawa Movie Download Link
- ডাউনলোড করুনঃ Pathaan Move Download
- ডাউনলোড করুনঃ Episode 01 - Syndicate Webseris Download Link
- ডাউনলোড করুনঃ Episode 02 - Syndicate Webseris Download Link
- ডাউনলোড করুনঃ Episode 03 - Syndicate Webseris Download Link
- ডাউনলোড করুনঃ মরীচিকা ওয়েব সিরিজ ডাউনলোড
কোনো সঠিক ও পূর্ণ প্রমাণ গাইডলাইন ছাড়া বাংলাদেশের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। কর্তৃপক্ষের প্রযুক্তিগত সহায়তারও অভাব রয়েছে যা ড্রাইভারদের এলোমেলো ডোপ টেস্ট ট্র্যাক করার জন্য প্রয়োজন।
ট্রাফিক নিয়ম বজায় রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সব ধরনের যানবাহনের জন্য একটি জরিমানা চার্ট তৈরি করেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নতুন আইন বাস্তবায়নের সমর্থনে একটি জরিমানা চার্ট তৈরি করেছে।
পুরনো নিয়ম অনুযায়ী, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল ১০০ টাকা। অন্যদিকে সড়ক পরিবহন আইন, ২০২২-এর অধীনে সর্বোচ্চ জরিমানা ৫ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন জরিমানা ৫,০০০ টাকা। নতুন জরিমানা চার্ট অনুসরণ করে, সংগৃহীত জরিমানার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে, যদি ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘনের সংখ্যা একই থাকে।ট্রাফিক আইন ভঙ্গের জন্য জরিমানা তালিকা নতুন ট্রাফিক রুলস 2022 অনুযায়ী জরিমানা বা শাস্তির নতুন পরিমাণ সম্পর্কে অনেকেই এখনও জানেন না। আপনার সুবিধার জন্য একটি সম্পূর্ণ চার্ট নিচে দেওয়া হল।
নতুন আইন | বিদ্যমান আইন | পূর্বের আইন |
---|---|---|
অপরাধ | শাস্তি | শাস্তি |
লাইসেন্স ছাড়া ড্রাইভিং করা | ছয় মাসের জেল অথবা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা | ৪০০ টাকা জরিমানাসহ ৪ মাসের জেল |
রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যানবাহন চালানো | ছয় মাসের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় | ৩ মাসের জেল অথবা ২ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় ৯ (প্রথমবার)/ ৬ মাসের জেল বা টাকা। ৫,০০০ জরিমানা বা উভয় (দ্বিতীয় বার) |
অযোগ্য যানবাহন চালানো | ছয় মাসের জেল অথবা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় | ৩ মাসের জেল বা অথবা ২ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় ৯ (প্রথমবার)/ ৬ মাসের জেল বা টাকা। ৫,০০০ জরিমানা বা উভয় (দ্বিতীয় বার) |
রুট পারমিট ছাড়া যানবাহন | ছয় মাসের জেল অথবা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় | ৩ মাসের জেল অথবা ১০,০০০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় কোনোটিই নয় |
মিটার টেম্পারিং | ছয় মাসের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় | ২ বছরের জেল অথবা ৫,০০০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় |
শরীর পরিমার্জন | ৩ বছরের জেল বা অথবা ৩ লাক টাকা জরিমানা অথবা উভয় | ৩ মাসের জেল বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড |
ওভার স্পিডিং | ৩ মাসের জেল অথবা ১০,০০০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় | ২০০ টাকা জরিমানা |
নিষিদ্ধ স্থানে হর্ন বাজানো | ৩ মাসের জেল অথবা ১৫,০০০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় | ২০০ টাকা জরিমানা |
উল্টা পথে গাড়ি চালানো | ৩ মাসের জেল অথবা ১০,০০০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় | ২০০ টাকা জরিমানা |
ট্রাফিক সিগন্যাল লঙ্ঘন | ৩ মাসের জেল অথবা ১০,০০০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় | ১ মাসের জেল অথবা ৫,০০০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় |
কবে থেকে নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে
⏰০১/১১/২০২২ থেকে এই নতুন ট্রাফিক নিয়ম ২০২২ কার্যকর হবে৷ কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনা বাদে, বেশিরভাগ মানুষই নতুন আইনের প্রতি ইতিবাচক মতামত প্রকাশ করছেন।বাংলাদেশ নতুন ট্রাফিক নিয়ম ২০২২ (BRTA আইন ২০২২ আপডেট) দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সড়ক পরিবহন আইন, ২০২২ শুক্রবার সারা বাংলাদেশে কার্যকর হওয়ায়, ঢাকায় আইন প্রয়োগের প্রথম দিন একটি শিথিলতা দেখা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা, যারা রাস্তায় নতুন আইন প্রয়োগ করছেন, তাদের যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি নম্র আচরণ করতে দেখা গেছে। সার্জেন্টরা ব্যস্ত মোড়ে এবং চৌরাস্তায় উপস্থিত ছিলেন – কিন্তু তাদের সব নয়।
আশা করি, বাংলাদেশের এই নতুন ট্রাফিক বিধিগুলি তাদের উদ্দেশ্য পূরণ করবে এবং ট্রাফিক দুর্ঘটনার সংখ্যা একটি বিশাল ব্যবধানে কমিয়ে দেবে এবং বাংলাদেশের সামগ্রিক ট্রাফিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে।
১১১ সিসি মোটর সাইকেল এর নিচে মহা সড়কে বিধি নিষেধের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে কারণ বাংলাদেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর কর্মীরা অফিসের কাজের ক্ষেত্রে সাধারণত মোটরসাইকেল ব্যবহার করে থাকে বিশেষ করে জ্বালানি সাশ্রয়ী হওয়ায় ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল ব্যবহার আসছে এমতাবস্থায় যদি যদি ১২৬ সিসির নতুন আইন করে তাহলে বিশাল একশ্রেণীর কর্মজীবি সমস্যার সম্মুখীন হবে। তাছাড়া ১২৬ সিসির ওপরে যে মোটরসাইকেল গুলো বাংলাদেশের রাস্তায় এসেছে সেগুলো গতি অন্য সাধারণ মোটরসাইকেলর চেয়ে অনেক গুণ বেশি,জ্বালানি খরচ ও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বাংলাদেশের গণমানুষের রাস্তায় এগুলো গতিনিয়ন্ত্রণ রিস্ক হয়ে পড়ে।কাজেই আমি মনে করি বাংলাদেশের গণপরিবহনের ছোট রাস্তায় দ্রুত গতি সম্পূর্ণ গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী।
ReplyDelete