নতুন মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া জেনে নিন ২০২৩ । BRTA New Bike Registration । BSP BRTA


প্রিয় বাইক লাভার "এখন পোস্ট ডট কম" এর পক্ষ থেকে সবাইকে স্বাগতম, আশা করি সবাই ভাল আছেন।বাইক কেনার সময় একটা কথা চিন্তা করতে হয়, কিভাবে বাইকের রেজিস্ট্রেশন করা যায়অনেক ভাই চিন্তা করেন রেজিস্ট্রেশন কি আমরা করতে পারি না? রেজিস্ট্রেশন করতে কত টাকা লাগবে? শোরুম থেকে  বাইক কেনার পরে আমি নিজে নিজে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবো? শোরুম থেকে না করে আমি নিজে নিজে রেজিস্ট্রেশন করি তাহলে তো কিছু খরচ কম হবে। আমি বলব হ্যাঁ অবশ্যই পারবেন - আপনি নিজে নিজে আপনার বাইকের রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এবং কত সিসি বাইকের জন্য কত টাকা লাগবে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে, কিভাবে ব্যাংকে টাকা জমা দিব, সকল সমস্যার সমাধান নিয়েই আমি আজকে আলোচনা করব। 

আমি আশা করি আপনি যদি এই ব্লক পোস্টটি সম্পুর্ণ ভালোভাবে পড়েন তাহলে অবশ্যই আপনি নিজের বাইক নিজেই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এবং মালিকানা চেঞ্জ করতে পারবেন, সকল পদ্ধতি নিম্নে আলোচনা করা হল। 

বিআরটিএ অফিসে যেয়ে আপনার কি কি করতে হবে এবং কি কি করনীয় সেটা ধারাবাহিকভাবে এখন বলে দিব, আপনি সেই অনুযায়ী আপনার বাইকের অথবা মোটরযানের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন সকল কিছুর বিস্তারিত নিচে সিরিয়াল অনুযায়ী দিয়ে দিব।


আপনি যদি নিজে রেজিস্ট্রেশন করতে চান প্রথমেই আপনি বেছে নিন আপনার নিকটবর্তি কোথায় বিআরটিএ অফিস আছে, প্রথমেই আপনি বিআরটিএ অফিসে যাবেন, যাওয়ার পরে নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ (নিচে উল্লেখ করা আছে)  আপনার বাইক/মোটরযানের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করবেন। 


আরো পড়ুনঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর


বিআরটিএ অফিস কর্তৃক  আপনার আবেদন সংযুক্ত ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করে সঠিক পেলে আপনাকে প্রয়োজনীয় রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারিত ব্যাংকে জমা প্রদান করতে বলবোআপনাকে একটি এ্যাসেসমেন্ট স্লিপ প্রদান  করবে এবং  নির্ধারিত ফি জমা প্রদানের পর গাড়িটি পরিদর্শণের জন্য উক্ত বিআরটিএ অফিসে হাজির করতে হবে। 


আপনার গাড়িটি পরিদর্শণ করার পর মালিকানা এবং গাড়ি সংক্রান্ত  সকল তথ্য বিআরটিএ ইনফরমেশন সিস্টেমে এন্টি করার পর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) কর্তৃক রেজিস্টেশনের যেন অনুমোদন প্রদান করা  হবে এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখপূর্বক একটি  ডকুমেন্ট/প্রাপ্তিস্বীকারপত্র, ফিটনেস সার্টিফিকেট  এবং ট্যাক্স টোকেন প্রিন্ট করে বিআরটিএ সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের  মাধ্যমে স্বাক্ষর  করে  আপনাকে প্রদান করা  কবে। 


ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট তৈরীর পরে বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি,আঙ্গুলের ছাপ ডিজিটাল স্বাক্ষর) প্রদানের জন্য আপনাকে  উক্ত অফিসে উপস্থিত হতে হবে, মোবাইলে এসএমএস পাওয়ার পরে। বায়োমেট্রিক্স প্রদানের পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট গ্রহণের জন্যও আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে  জানানো হবে।


বিশেষ দ্রষ্টব্য: আপনি যদি কোম্পানির বাইক রেজিস্ট্রেশন করতে চান তাহলে অবশ্যই কোম্পানির প্যাড  আপনার নামের অথরাইজেশন লেটার নিয়ে যেতে হবে,সকল কাজের জন্য অবশ্যই নিয়ে যাবেন (বাধ্যতামূলক)

বাইক রেজিস্ট্রেশন করার জন্য যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন এবং যেভাবে এই ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করা লাগবে তার বিস্তারিত সিরিয়াল অনুযায়ী নিচে আলোচনা করা হলো

বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিচের সকল সিরিয়ালের ডকুমেন্ট আপনার জন্য প্রযোজ্য নয় আপনার জন্য যে ডকুমেন্ট প্রয়োজন আপনি সেই ডকুমেন্টগুলো বিআরটিএ নিয়ে যাবেন বাইক রেজিস্ট্রেশন করার জন্য।


আরো পড়ুনঃ কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করবেন

 

০১) মালিক আমদানিকারক/ডিলার কর্তৃক (বাইকের শোরুম থেকে) যথাযথভাবে পূরণ  করা স্বাক্ষর করা নির্ধারিত আবেদনপত্র ,আপনি এই আবেদন ফরম বিআরটিএ অফিস হতে সরাসরি সংগ্রহ  করতে পারবেন। এমনকি বিআরটিএর ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন, ডাউনলোড করার জন্য নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিবেন


✳️বাইক অথবা মোটরযানের একাধিক ব্যক্তি যৌথভাবে গাড়ির মালিক হলে সে-ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একজনের নামে রেজিস্ট্রেশনের করার জন্য সকলের  অনুমতি সাপেক্ষে হলফনামা প্রদান করতে হবে;

✳️কোম্পানির/প্রতিষ্ঠান ক্ষেত্রে স্বাক্ষর এবং সিলমোহর;

✳️ ব্যাংক অথবা অর্থপ্রদান প্রতিষ্ঠানের সাথে বাইক অথবা মোটরযানের মালিকানার আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানের প্যাডে  ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন।


০২) বিল অব এন্ট্রি,বিল অব লেডিং, ইনভয়েস এলসিএ কপি (নিজস্ব ভাবে বাইরের দেশ থেকে বাংলাদেশ ইমপোর্ট করলে প্রযোজ্য হবে,বাইকের শোরুম থেকে কিনলে বাইকের শোরুম এই পেপারস গুলো দিতে বাধ্য থাকবে)


০৩) সেল সার্টিফিকেট/বিক্রয় প্রমাণপত্র/সেল ইন্টিমেশন (আমদানিকারক/বিক্রেতা প্রদত্ত)


০৪) ডেলিভারী চালান, প্যাকিং লিস্ট গেইট পাশ (শুধুমাত্র সিকেডি গাড়ির ক্ষেত্রে)


০৫) টিন সার্টিফিকেট এবং আয়কর প্রদানের প্রমাণপত্র।


০৬) বিদেশি নাগরিকের নামে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন/মালিকানা বদলি  করা হলে বাংলাদেশের ওয়ার্ক পারমিট   ভিসার মেয়াদের কপি।


০৭) () মূসক- (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

() মূসক-১১()/ভ্যাট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

() ভ্যাট পরিশোধের চালান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)


০৮) বডি ভ্যাট চালান এবং ভ্যাট পরিশোধের  প্রাপ্ত রসিদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)


০৯) প্রযোজ্য রেজিস্ট্রেশন ফি  ব্যাংকে/ অনলাইনে জমাদানের রসিদ।


১০) কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ডের ছাড়পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)


১১) ব্যক্তি মালিকানাধীন আবেদনকারীর জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র/টেলিফোন বিল/পাসপোর্ট/বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদির যে-কোনটির সেকেন্ড গ্রাজুয়েট অফিসার  কর্তৃক সত্যায়িত ফটোকপি এবং প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে চিঠি।


১২) নিলামে ক্রয়কৃত প্রতিরক্ষা/সরকারি বিভাগের গাড়ির জন্য লগবুকে বর্ণিত প্রস্ত্ততকাল প্রস্ত্ততকারকের সকল বিস্তারিত বিবরণ এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদত্ত ছাড়পত্র।


১৩) নিলামে ক্রয়কৃত সরকারি/স্বায়ত্বশাসিত/আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ির জন্য নিলাম সংক্রান্ত  সকল কাগজপত্র এবং মেরামতের বিস্তারিত বিবরণ।


১৪) রিকন্ডিশন মোটরযান/ বাইক রেজিস্ট্রেশনের  জন্য নিম্নোক্ত অতিরিক্ত  ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে-

) টিও ফরম (ক্রেতা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে), টিটিও ফরম  এবং বিক্রয় রসিদ (আমদানিকারক/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্বাক্ষরিত)

)  পুনরায়-রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের মূল কপি এবং  পুনরায়-রেজিস্ট্রেশনের ইংরেজি অনুবাদের  জন্য সত্যায়িত কপি


১৫) মোটরযান/বাইক পরিদর্শক কর্তৃক পরিদর্শন প্রতিবেদন।

ফরম 

Post a Comment

Do not Share any Link

Previous Post Next Post

Contact Form