স্মার্টফোনের ব্যবহার এই যুগে সবার থেকে বেশি কারণ এটা দামে সস্তা ওজনে হালকা ক্যারি করতে অনেক সুবিধা এবং এমন কোন কাজ নেই যা এই মোবাইলের মাধ্যমে করা অসম্ভব। এই মোবাইল শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই ব্যবহার করতে পারে সুবিধামতো যার জন্য স্মার্টফোনের গ্রাহক অনেক বেশি।
✳️বাংলাদেশের বিটিআরসির 2021 সালের ডিসেম্বরের পাওয়া সর্বশেষ তথ্যমতে উঠে এসেছে ৷
ডিসেম্বর 2021 সালের শেষে বিটিআরসির একটি প্রতিবেদনে দেখা যায় -বাংলাদেশের মোবাইল ফোনের/ স্মার্টফোনের গ্রাহক সংখ্যা ১৭ কোটি ২ লক্ষ ৬৭ হাজার দাঁড়িয়েছে৷
যার মধ্যে বাংলালিংক এর সিম ব্যবহার করেন ৩ কোটি ৬২৩ লক্ষ ৮২ হাজার, গ্রামীনফোনের সিম ব্যবহার করেন ৭ কোটি ৮০ লক্ষ ৩২ হাজার, টেলিটকের সিম ব্যবহার করেন (সরকারি সিম) ৫০ লক্ষ্য ৩৭ হাজার এবং রবি ও এয়ারটেল সিমের সংখ্যা ৫ কোটি ১০ লাখ ২২ হাজার৷
অপর দিকে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটি ২৬ লক্ষ ৮৬ হাজার৷ যার মধ্যে মোবাইল সিমের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ১১ কোটি ৫৬ লক্ষ ২২ হাজার৷
✳️এবার জানুন, ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় 4G থেকে 2G হওয়ার গোপন রহস্য
আপনারা দেখে থাকবেন এক এক এলাকায় টাওয়ারের সংখ্যা কমবেশি হয়ে থাকে, কোন এলাকায় গ্রামীণফোনের টাওয়ার বেশি থাকে কোন এলাকায় বাংলালিংক কিংবা রবি টাওয়ার বেশি থাকে ৷ আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে জানেন যে কোন এলাকায় সেই টাওয়ার বেশি থাকে যেখানে সেই সিম কোম্পানির ব্যবহারকারী সে এলাকায় বেশি থাকে৷ উদাহরণস্বরূপ -যেখানে গ্রামীন সিমের ব্যবহারকারী বেশি থাকে সেখানে গ্রামীন সিমের টাওয়ার বেশি বসানো হয়ে থাকে, তেমনি বাকি টাওয়ারগুলো ব্যবহারকারীর হিসাব অনুযায়ী বসানো হয়ে থাকে৷
আরো পড়ুনঃ সোলার ওয়াটার হিটার কীভাবে কাজ করে বা সোলার ওয়াটার হিটারের কাজের নীতি শিখুন
✳️বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত 4G অ্যাভেলেবল কিন্তু সব এলাকায় 4G কানেকশন পাওয়া যায় না৷
1️⃣প্রথম কারণ- ইন্টারনেট কানেকশন সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে,2G কানেকশান, 3G কানেকশন এবং 4G কানেকশন ৷ উপরে উল্লেখিত কানেকশন গুলো প্রদান করার জন্য টাওয়ারে ভিন্ন ভিন্ন ডিভাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যে টাওয়ারের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেশি থাকে সেখানে 2G কানেকশান, 3G এবং 4G কানেকশন দেওয়া হয়৷ যেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কম থাকে সেখানে প্রয়োজন অনুযায়ী কানেকশন কম বা বেশি দেওয়া থাকে যার ফলে সেখানে সব সময় ভাল ইন্টারনেট পাওয়া যায় না৷
2️⃣দ্বিতীয় কারণ- মনে করেন আপনি এখন যানবাহনে করে কোথাও ফোনের মাধ্যমে কথা বলতে বলতে যাচ্ছেন অথবা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে করতে যাচ্ছেন এখন হঠাৎ করে দেখলেন আপনার ফোনের 4G কানেকশান থেকে 2G কানেকশন হয়ে গেল, যার মূল কারণ হলো আপনি প্রথম যে এলাকায় ছিলেন সে এলাকায় 4g কানেকশন অ্যাভেলেবল ছিল কিন্তু আপনি যখন সেই এলাকা অতিক্রম করে অন্য এলাকায় পৌঁছালে সেখানে 4g কানেকশন এভেলেবেল নেই শুধুমাত্র টু-জি কানেকশন অ্যাভেলেবল আছে, সেই কারণে আপনার ফোনের ইন্টারনেট কানেকশন 2G হয়ে গেছে৷
3️⃣তৃতীয় কারণ- আপনি যে এলাকায় আছেন সেখানে 4G অ্যাভেলেবল কিন্তু হঠাৎ করে দেখলেন 4g কানেকশন চলে গেছে এবং ইন্টারনেট কানেকশন 2G হয়ে গেছে৷ এটার একটি অন্যতম কারণ হলো, আপনি যে টাওয়ারের আন্ডারে রয়েছেন সেখানে 4g কানেকশন এর ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু কোন কারণে সেই টাওয়ারের ইলেকট্রিসিটি কারেন্ট অথবা ব্যাটারি ব্যাকআপ না থাকার কারণে সেই ডিভাইসটি অফ হয়ে গেছে যার ফলে 4g কানেকশন টি অফ হয়ে থাকে৷
মাঝেমধ্যে দেখবেন এরকম ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, যদি ইলেকট্রিসিটি পুনরায় চলে আসে তাহলে দ্রুত কানেকশনটি ঠিক হয়ে যায় যদি কানেকশনটি ঠিক না হয় তবে ভেবে নিতে হবে ডিভাইসের অন্য কোন কারণে কানেকশন টি অফ হয়ে গেছে৷ যদি কোন টাওয়ারের কোন ডিভাইস 30 মিনিটের বেশি বন্ধ থাকে অথবা টাওয়ারের সাইটে যদি কারেন্ট না থাকে তাহলে সেন্সরের মাধ্যমে টাওয়ারের অফিসে নোটিফিকেশন চলে যায়৷
আরো পড়ুনঃ বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ বিল হিসাব করুন নিজেই
তখন টাওয়ারের সাব অফিস থেকে টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার সেই টাওয়ারে যেয়ে ম্যানুয়ালি কাজটি সমাধান করার চেষ্টা করে থাকে, সে ক্ষেত্রে সাধারণত সময় লাগে 2/3 ঘন্টার উপরে৷ যদি তারা টাওয়ারে খুব দ্রুত চলে আসতে পারে তাহলে সেই সমস্যাটা আরো দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করে দিতে পারে৷
এই সমস্যা আরো কয়েকটি কারণে হয়ে থাকে যা বিস্তারিত আলোচনা করবো পরবর্তী একটি ব্লগ পোস্টে ৷আশা করি আজকের লেখাটি আপনাদের কাছে ভাল লেগেছে, অ্যামোনি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে যাবো ৷আজকের এই লেখাটি নিয়ে কোন ধরনের মন্তব্য থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না৷ ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ৷