এবি ব্যাংক স্টুডেন্ট দের জন্য নিয়ে এলো দারুণ একটি অ্যাকাউন্ট যে একাউন্ট শুধুমাত্র স্টুডেন্ট রা ওপেন করতে পারবে। স্টুডেন্ট ব্যতীত এই এ্যাকাউন্ট টি অন্য কেও ওপেন করতে পারবে না।
শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য এবি ব্যাংক স্টুডেন্ট এ্যাকাউন্ট চালু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাঁচ বছর ব্যবহার করতে পারবে।
আজকে আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে আপনি একটি এবি ব্যাংকের স্টুডেন্ট একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন, এই একাউন্টে কি কি ফিচার রয়েছে এবং অ্যাকাউন্ট ওপেন করার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন।
✳️অ্যাকাউন্ট ওপেন করার সকল বিষয় নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
এবি ব্যাংকের স্টুডেন্ট একাউন্ট এর ফিচারসমূহ
- অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ কোনো ফি নেই।
- বিনামূল্যে চেক বই।
- ফ্রি ডেবিট কার্ড।
- বিনামূল্যে এসএমএস ব্যাংকিং এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিং।
- বিনামূল্যে স্থায়ী নির্দেশাবলী।
- ব্যাংক থেকে নগদ একাউন্টে টাকা নেওয়া ফ্রি।
- ফ্রি রিয়েল টাইম মোবাইল টপ-আপ*(জিপি, বাংলালিংক, সিটিসেল, এয়ারটেল, রবি, টেলিটক)।
✳️এবি ব্যাংকের স্টুডেন্ট একাউন্ট দুই ক্যাটাগরির
- এবি মাইনর
- এবি মেজর
এবি মাইনরঃ প্রথমে জেনে নেওয়া যাক এবি মাইনর কাদের জন্য প্রযোজ্য- যাদের বয়স ১৮ বছর বয়সের কম এবং যাদের এখনও জাতীয় পরিচয় পত্র হয়নি তাদের জন্য এবি মাইনর একাউন্ট প্রযোজ্য।
এবি মেজরঃ এবার জেনে নেওয়া যাক এবি মেজর কাদের জন্য প্রযোজ্য- যাদের বয়স ১৮ বছরের উপরে এবং যাদের জাতীয় পরিচয় পত্র হয়েছে তাদের জন্য এবি মেজর একাউন্ট প্রযোজ্য।
তবে এই দুই ক্যাটাগরির একাউন্টের সুযোগ-সুবিধা একি কিন্তু অ্যাকাউন্ট ওপেন করার জন্য যে ডকুমেন্টের প্রয়োজন?
✳️এবি মাইনর এবং এবি মেজরের মধ্যে ডকুমেন্ট কিছু পার্থক্য রয়েছে।
এবার জেনে নিন এবি মাইনুর ক্যাটাগরির জন্য যে সমস্ত ডকুমেন্ট প্রয়োজন-
1️⃣অ্যাকাউন্ট ওপেন করার ৬ থেকে ৭ দিন আগের মধ্যে উঠানো পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙ্গিন ছবি।
অথবা যে ইস্কুলে বর্তমানে রানিং এ পড়ালেখা করছেন সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ছবিসহ প্রশংসাপত্র
অথবা ভ্যালিড পাসপোর্ট থাকলে তার ফটোকপি।
2️⃣ অবশ্যই জন্ম সনদপত্র লাগবে ।
3️⃣আপনি যে স্কুলে পড়ালেখা করছেন সেই স্কুলের আইডি কার্ড লাগবে।
4️⃣ আপনার যে নমিনি হবেন তার সদ্য তোলা এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে এবং তার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
5️⃣একটি মোবাইল নাম্বার ও জিমেইল এড্রেস
বিশেষ দ্রষ্টব্য: অ্যাকাউন্ট ওপেন করার সময় আপনাকে ৫০০ টাকা অথবা ১,০০০ টাকা জমা রাখতে বলবে ব্যাংক থেকে তবে সেই সম্পূর্ণ টাকা এক সপ্তাহ পরে যখন আপনি চেক বই এবং ভিসা ডেবিট কার্ড পাবেন তখনই তুলে নিতে পারবেন
এবার জেনে নেওয়া যাক এবি মেজর ক্যাটাগরির জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন-
1️⃣ সদ্যতোলা ২ কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
2️⃣ জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি অথবা ভ্যালিড পাসপোর্ট এর একটি ফটোকপি।
3️⃣ আপনি যে কলেজ অথবা ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট সেখানকার ভ্যালিড স্টুডেন্ট আইডি কার্ড।
4️⃣ আপনার জন্য যিনি নমিনি হবেন তার সদ্য তোলা এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
5️⃣ নমিনীর ১ কপি জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
6️⃣ একটি মোবাইল নাম্বার ও জিমেইল এড্রেস
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ অ্যাকাউন্ট ওপেন করার সময় আপনাকে ৫০০ টাকা অথবা ১,০০০ টাকা জমা রাখতে বলবে ব্যাংক থেকে তবে সেই সম্পূর্ণ টাকা এক সপ্তাহ পরে যখন আপনি চেক বই এবং ভিসা ডেবিট কার্ড পাবেন তখনই তুলে নিতে পারবেন
এখন আপনি যে ক্যাটাগরির একাউন্ট ওপেন করতে চাচ্ছেন সেই ক্যাটাগরির সকল ডকুমেন্ট নিয়ে (নমিনি কে উপস্থিত থাকতে হবে না) আপনার নিকটস্থ এবি ব্যাংকের শাখায় চলে যাবেন, ব্যাংকে যাওয়ার পরে হেলপ ডেস্ক থেকে জেনে নেবেন একাউন্ট ওপেন করার অফিসার কোন ডেস্ক বসেন। আপনি সেখানে যেয়ে সকল ডকুমেন্ট তাদেরকে দিবেন তারপরে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট ওপেন করার জন্য ফরম দিবে। আপনি সেখানে বসে ফরম ফিলাপ করে দেবেন যদি কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে তাদের সাহায্য নিবেন।
অবশ্যই একটা কথা মাথায় রাখবেন ফরম ফিলাপ করার সময় আপনার নাম পিতার নাম ভুল করবেন না এবং আপনি যে ব্যক্তিগতভাবে মোবাইল ও ইমেইল নাম্বার ব্যবহার করেন সেটা সঠিকভাবে বসাবেন এবং ফরমে বর্তমান ঠিকানা দেওয়ার সময় সঠিক করে দিবেন কারণ আপনি অ্যাকাউন্ট ওপেন করার সাত দিন পরে বর্তমান ঠিকানায় একটি লেটার পাঠাবে যে লেটার নিয়ে আপনাকে পুনরায় এবি ব্যাংকের সেই শাখায় উপস্থিত হতে হবে।
আপনি যদি লেটার ছাড়া ব্যাংকে জান তাহলে আপনাকে আবারো ফিরে আসতে হবে, কারণ হলো? আপনি যে চেক বই এবং ভিসা ডেবিট কার্ড পাবেন সেটা ওই লেটার পাওয়ার পরে আপনাকে দিবে তাই কোনভাবে আপনি লেটার ছাড়া চেক বই এবং ডেবিট কার্ড আনতে যাবেন না।
আপনি লেটার দেওয়ার পরে আপনাকে চেক বই এবং ভিসা ডেবিট কার্ড বুঝিয়ে দিয়ে দিবে এবং ডেবিট কার্ডের পাসওয়ার্ড এর জন্য ছোট একটি খাম দিবে যেখান ওপেন করলে ভিতরে ৪ ডিজিটের একটি পিন কোড থাকবে যে পিন কোড দিয়ে আপনি এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
এইভাবে আপনি কোন ঝামেলা ছাড়াই এবি ব্যাংক এর স্টুডেন্ট একাউন্ট ওপেন করে নিতে পারবেন,
পরবর্তী আরও একটি ব্লক পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে যাব যেখান থেকে জানতে পারবেন স্টুডেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা কি কিভাবে স্টুডেন্ট একাউন্ট এর মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করবেন, ইন্টারনেট ব্যাংকিং চালু করবেন এবং কিভাবে ভিসা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ইউএসডি ব্যবহার করতে পারবেন তার কোন চার্জ আছে কিনা কত ডলার আপনি বছরে খরচ করতে পারবেন সকল বিষয় সেখানে তুলে ধরব।
আজকে এই পর্যন্ত যদি কোনো যান আরো বুঝতে বাকি থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আপনি যদি আরো ভালোভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই ইউটিউবে যে সার্চ করবেন Tech Mahbub ইউটিউব চ্যানেলের যাবতীয় বিষয় নিয়ে ভিডিও পেয়ে যাবেন।